মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন
ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনের নাম নির্ধারণ করেছেন।
তার আগে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান: ২৭ মার্চ উদ্বোধন হলেও শিগগির নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করবে না মিতালী এক্সপ্রেস। করোনার কারণে ভারতের ভিসা বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে ট্রেনটি নিয়মিত চলবে। ঢাকা থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং জলপাইগুড়ি থেকে রোববার ও বুধবার ট্রেনটি চলবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে জলাপাইগুড়ি থেকে রাতে ঢাকায় পৌঁছে ফের জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। পথে কোনো স্টেশনে দাঁড়াবে না। বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে ‘মৈত্রী’ এবং কলকাতা-খুলনা রুটে ‘বন্ধন’ নামে দুটি ট্রেন চলছে।
ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ির দূরত্ব রেলপথে ৫৯৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৫২৬ কিলোমিটার। বাকি ৬৯ কিলোমিটার ভারত অংশে। ট্রেন থেকে আয় ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারতকে। দূরত্ব অনুপাতে ভাড়ার ৮৫ ভাগ বাংলাদেশ এবং বাকি ১৫ ভাগ ভারত পাবে।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান: ভাড়ার হার ও রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে ভারতকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে।
রেল সূত্রে আরও জানা গেছে, মিতালীর সব কামরা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সব ধরনের করসহ এসি বার্থে যাত্রীপ্রতি তিন হাজার ৭৪০ টাকা, এসি সিটে দুই হাজার ৮০৫ টাকা এবং এসি চেয়ারে এক হাজার ৮৭০ টাকা ভাড়া পড়বে। ভারতের দেওয়া ১০টি ব্রডগেজ ট্রেন কোচে আপাতত চলবে এটি। পরে নতুন বগি আমদানির পর বাংলাদেশের বগি ও ইঞ্জিনে চলবে মিতালী।